শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

>

শীতের রুক্ষতায় ত্বকের সৌন্দর্য- ঘরোয়া যাত্নে ফিরে পান প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়ে ত্বক সুন্দর ও সুস্থ রাখা যায় যেমন ত্বকের যত্নে নেওয়া। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।   আর বেশি বেশি পানি পান করার।

চলুন আরো কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস জানি যেগুলো করলে আমাদের শরীরর সুস্থ থাকবে এবং ত্বক লাবণ্য হবে। সেই ব্যাপারে কিছু টিপস আপনি জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। আপনি মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলটি পড়েন তবে বুঝতে পারবেন আপনার ত্বকের যত্ন নিতে কি কি করতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

শীতে ত্বক থাকবে নরম উজ্জ্বলতা ও ময়েশচরাইজারঃ শীতে ত্বকের যত্ন করুন এবং ত্বককে নরম সুন্দর ও খুসখুসে ভাব দূর করতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, আপনি শরীরচর্চার জন্য কিছু টিপস ব্যবহার করতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে( দুধ ও মধু )এই দুইটি জিনিস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি নিয়মিত এই দুইটি জিনিস ব্যবহার করেন তবে আপনার ত্বক হবে সুন্দর টানটান এবং খুশখুসে মুক্ত।

মধু ও দুধের উপকারিতাঃ তাই আমরা এই শীতে নিয়মিত ত্বকের যত্নে মধু ও দুধ ব্যবহার করতে পারি। দিনে ১ থেকে ২ বার যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তবে আপনি রেজাল্ট পাবেন। এই জিনিস ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন এক তিন চামচ দুধ এর সাথে দুই চামচ মধু মিস করে নিন এবং সেটিকে হালকা ভাবে আঙ্গুল দিয়ে ফেটিয়ে মিক্স করুন। এমন ভাবে মিক্স করুন যেন দুইটি একজাস্ট হয়ে গেছে।

 তারপর আপনার ত্বকে আলতো ভাবে লাগান। লাগানোর ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হালকা কুসুম গরম পানি কারণ এখন ঠান্ডার সময় হালকা কুসুম গরম পানি শরীরের পক্ষে উপকার। খুব বেশি গরম যেন না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। এইভাবে কিছুদিন নিয়মিত করতে থাকুন দেখবেন আপনি নিজে এর ফল অনুভব করবেন। 

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ও লেবু ,হলুদ এর উপকারিতা

শীত এলেই আমাদের ত্বক মলিন হতে শুরু করে মনে হয়। শীতের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের শরীরের ত্বক ও প্রাণহীন হতে শুরু করে। শীতের প্রথম ছাপ পড়ে আমাদের শরীরে শীতের সময় শরীর ফেটে যায় এবং শরীরের ব্রণ কালছে ভাব সবকিছু দেখা দেয়। তাই ত্বকের জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। ত্বকের এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টিপস মানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ঘরোয়া টিপস মানলে এই শীতে আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল লাবণ্য ময়। তাই লাবণ্যময় উজ্জ্বল ত্বক রাখতে গেলে আপনাকে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। শরীরচর্চা করতে গেলে যে সকল উপাদান দরকার সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জেল লেবু ও হলুদ এর উপকারিতা। একটি এলোভেরা জেল এর সাথে লেবু এক চামচ তার সাথে হালকা হলুদ মিশিয়ে একসাথে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। 

লাগানোর 10 মিনিট পরে আপনি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন করতে থাকুন দেখুন আপনার তকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে ও ত্বকের কালছে ভাব দূর হবে।

ত্বকের যত্নে চিনি ,কফি,লেবুর ব্যবহার

ত্বকের যত্নে যদি আপনি লেবু পান তবে আবশ্যয় আপনি লেবু পানি খাবেন কারণ লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা আপনার শরীরের ফ্যাট কমাই শরীর কে সতেজ করে।আর কফি পেলে কফি নিয়মিত পান করুন।কফিতে মন চাঙা রাখে যা আপনার সাস্থে জন্য ভালো। খাবারের সাথে সাথে এই এই জিনিস আপনি একসঙ্গে মিক্স করে একটি ফেসিয়ালের উপাদান তৈরি করুন যাতে আপনার ত্বকে লাগালে সেটি উপকারে আসে।

 উপাদান আপনি আপনার মুখে ভালোভাবে লাগান মুখের সাথে হাতে ও লাগাতে পারে না। লাগানোর পর ১৫ মিনিট রাখুন তারপর শুকিয়ে গেলি ধুয়ে ফেলুন এভাবে কয়েকদিন বা ১৫ দিন মতো লাগাতে থাকুন। লাগানোর পর আপনি দেখবেন আপনার ত্বকের খুসখুসে ভাব বা কালসে ভাব দূর হয়ে গেছে এবং ত্বকের মধ্যে লাবণ্যতা ফিরে এসেছে। লাবণ্য উজ্জল চেহারা কার না পছন্দ। সকল মানুষের চাই তার চেহারা সুন্দর ও উজ্জ্বল থাকুক। তাই উজ্জ্বল চেহারা ধরে রাখতে গেলে আপনাকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর যত্ন নিতে হবে। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে যত্ন নিলে ত্বক বেশিদিন লাবণ্য থাকে আর যদি আপনি ক্রিম প্রসাধনী  ব্যবহার করেন বেশি দিন ধরে তবে ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বকের উজ্জ্বল চেহারা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করব এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে ক্রিম বা উপাদান তৈরি করে চেহারার সৌন্দর্য বাড়াবো।

শীতে ত্বক ভালো রাখার জন্য নারিকেল তেলের উপকারিতা

শীতে সব ভালো রাখার জন্য নারিকেল তেলের উপকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শীতের ঠান্ডা আদ্রতা আমাদের শরীরে  খারাপ খায় না। ঠান্ডা আবহাওয়া গায়ে লাগতেই শরীরের চামড়া যেন সাদা সাদা ভাব আসে। হাতের নখের  আঁচড় পড়লেই গায়ে লম্বা সাদা দাগ করে যায়। এইসব দেখে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে এই ঠান্ডা থেকে সাদা দাগ দূর করার কি হতে পারে। আপনি যদি এ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে খুব ভালো দামের মশচূড়ায়যেন কিনে ব্যবহার করতে পারেন।

 আর যদি মনে করেন আপনি মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে চান না। তবে প্রতিদিন নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেল শরীরের জন্য অনেক উপকার আপনি প্রতিদিন এই শীতে নারিকেল তেল গায়ে লাগাবেন রাতে ঘুমানোর আগে। এভাবে আপনি পুরো শীতে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন নিয়ম করে শোয়ার পূর্বে নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন দেখবেন এই শীতে আপনার ত্বক সুন্দর ও সাদা ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।

শীতে সুতি পোশাক পরুন গায়ে রোদ লাগান

এই শীতে জর্জেট এবং স্লিকের পোশাক পরিহার করুন। কারণ শীতে এইসব পোশাক আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এইসব পোশাক পরলে শরীরে গরম ভাব আসে না। এসব পোশাকে মনে হয় শরীর বাইরের মতো ঠান্ডা অনুভব হয়। শীতে এসব পোশাক পরিধানে গায়ে আরাম আসে না তাই এসব পোশাক পরিহার করা একান্ত প্রয়োজন। শীতের জন্য সবচেয়ে ভালো মানের পোশাক হল সুতি পোশাক মকমেলের পোশাক এসব পোশাক পরলে গায়ে আরাম আসে  ঠান্ডা ও কম লাগে।

শীতে আরেকটি উপকারী কাজ হল গায়ে রোদ লাগানো। গায়ে রোদ লাগালে শরীরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। শীতে গায়ে রোদ লাগালে ভিটামিন ডি এর সাথে সাথে শরী্রে সুন্দর মসৃণতা আসে এবং বার্ধক্যের ছাপ দূর হয়।

শীতে শরীর সুস্থ রাখতে বেশি পানি পান করা

শীতে বেশি বেশি পানি পান করুন শরীর সুস্থ থাকবে। অনেকেই ভাবেন বেশি পানি পান করলে পোশাক করার বেশি দরকার পড়ে। তাই এই ঠান্ডায় বেশি পানি খেতে না। কিন্তু এটা একেবারে ঠিক না কারণ বেশি পানি পান করলে শরীরে এনার্জি ভাব থাকে এবং শরীর শুকনোতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ রাখতে বেশি পানি পান করা আমাদের সকলের জন্য প্রযোজ্য। শীতের শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

 এই শিতে পানির তৃষ্ণা কম লাগলে শরীরে পানির শূন্যতা হতে পারে। পানি বেশি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের যাবতীয় পেশি হেঠো বা হাড়ের মধ্যে পানি ঘাটতি দূর করে। শীতকালে তৃষ্ণা কমলাগার কারণে পানি পান করা কম হয়ে যায় এতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বলতা ভাব, চিহ্ন কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সিটে শরীর সুস্থ রাখতে ত্বকের যত্নে অবশ্যই বেশি বেশি পানি খেতে হবে।

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন নিম ফেসওয়াশ, পেষ্ট ও অ্যলিবয়েল তেল

শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং তোকে লাবণ্যময় উজ্জ্বল গ্লোভাব আনতে  ব্যবহার করুন নি অলি বইয়ের তেল ও সঙ্গে পেষ্ট। এর কথা শুনে হয়তো আপনারা ভাবছেন পেস্ট আবার কিভাবে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চলুন সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায় কিভাবে পেস্ট এর সাথে নিম ফেসওয়াশ ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়। নিম ফেসওয়াস কিছু পরিমাণ এর সাথে সঙ্গে হালকা পেষ্ট নিয়ে এর সঙ্গে মিক্স ড করুন তার সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল তেল দিন। তারপর মিক্সড না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। 

তারপর পর দেখবেন সবগুলোর একজাস্ট হয়ে গেছে। তখন আপনি সেই উপাদানটি মুখে ব্যবহার করুন ।মুখে ব্যবহার করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর আবার হালকা দুই তিন ফোটা অলিভ অয়েল তেল  লাগান দেখবেন আপনার ত্বকে গ্লো ভাব এসেছে। এভাবে আপনার ত্বক শুষ্কতা থেকে দূর করতে পারেন।

ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়ে ক্রিম তৈরি


আমরা অনেকেই অনেক প্রসাধনী ব্যবহার করি ত্বকের উপকারের জন্য। কিন্তু ত্বকের উপকার কিছুদিন পাওয়া গেলে ও পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে। তাই যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি নাইট ক্রিম তৈরি করা যায় তাহলে কেমন হবে বলুন অবশ্যই ভালো কিছু হবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে নাইট ক্রিম তৈরি করার জন্য কিছু জিনিসের প্রয়োজনীয়।

তাই চলুন নাইট ক্রিম বানাতে কি কি জিনিস আমরা ব্যবহার করতে পারি সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানি। প্রথমে আমরা ভাতের চাউল নিব তারপর একটা পান নিবো। আরো নিব ভিটামিন এ ক্যাপসুল তার সাথে শীতের ফেসওয়াশ। শীতের জন্য আপনি যেই ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন সেই ফেসওয়াশ নিলেই চলবে। আর সঙ্গে নিব একটি পরিষ্কার কৌটা।

এবার এসব জিনিস দিয়ে আমরা তৈরি করব একটি নাইট ক্রিম। প্রথমে ভাতের চাউল অল্প পরিমাণ নিয়ে সিদ্ধ করব। তবে আপনার খুশিমতো আপনি নিতে পারেন। তারপর একটি পরিষ্কার পান নিবো। তবে আপনি যদি বেশি চাউল দেন তাইলে পান দুইটার মত ব্যবহার করতে হবে। এই চাউল সিদ্ধ করার পর ভাতের মতো আকৃতি হবে।

 তারপর এর সঙ্গে আমরা পরিষ্কার পানি ধুয়ে রাখা পান টিকে কুচি কুচি করে কচির সাহায্যে কেটে ওর মধ্যে দিয়ে সিদ্ধ করবো আর অনবরত নারতে থাকতে হবে। এই সিদ্ধ ভাত আমাদের শরীরের ত্বকের জন্য খুবই উপকার। সিদ্ধ হওয়ার পর দুইটা একসঙ্গে ব্লিন্ডার করে নিবো।

 ব্লেন্ডার করার পর ভিটামিন বি ক্যাপসুল এর সাথে ফেসওয়াশ মিক্সড করে এই ব্লেন্ডার করা উপাদানটির মধ্যে দিয়ে মিক্সড করে একটি কৌটার যে রাখবো। এভাবে তৈরি হয়ে গেল আমাদের ঘরোয়া পদ্ধতিতে নাইট ক্রিম। এই আমরা প্রতি রাতে ব্যবহার করব তারপরে আমরা রেজাল্ট পাব আমাদের ত্বক কিভাবে গ্লো করছে।শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটাই আমাদের স্পেশাল ক্রিম।

শীতে ত্বকের যত্নে গোসলের উপকারিতা

শীতে বেশির ভাগ মানুষ গোসল করতে চাইনা।কিন্তু এটা  একদম ঠিক না।শিতে আমাদের প্রতিদিন গোসল করা উচিত।কারণ শিতে ত্বক অনেক রুক্ষ থাকে আর এই রুক্ষতাই হাত পা ঠোট ফেটে যায়।তখন মনের মধ্যে অনেক অশান্তি লাগে ।আর এই অশান্তি থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত গোসল করতে হবে।আর গোসলে পরিষ্কার থাকে।তাই শীতে অবশ্যয় শরীর পরিষ্কার রাখা অনেক জরুরি।

মন্তব্য

উপরের আলোচনা গুলো যদি আমরা ফলো করি তবে আমরা শীতে শরীর পরিচর্যা  করার সকল নিয়ম জানতে পারবো।শীতে তকের রুক্ষতা থেকে মুক্তি পাবো।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Mst.Manira Khatun
Mst.Manira Khatun
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট মানিরা আইটি । তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।